0
নবী পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কি সব যায়গায় হাজির নাজির????
কুরআন ও হাদিসের আলুকে জবাব .....



আল কোরআনের দৃষ্টিতে নবী পাক হাজির-নাজির

আল-কোরআনে এরশাদ হচ্ছে-
১)ইয়া আয়্যূহান নাবীয়্যূ ইন্না আরসালনাকা শাহিদাওঁ ওয়া মুবাশশিরাওঁ ওয়া নাজিরাওঁ।
অর্থ :- হে অদৃশ্যের সংবাদ দাতা (নবী) ! নিশ্চয়ই আপনাকে আমি পাঠিয়েছি হাজির-নাজির রুপে এবং সুসংবাদ দাতা রুপে এবং ভয়প্রর্দশনকারীরুপে বা সতর্ককারীরুপে। (সুরা আহযাব, আয়াত-৪৫)

ওয়া দাইআন ইল্লাল্লাহি বিইজনিহি ওয়া সিরাজাম মুনিরা।
অর্থ:- আল্লাহর দিকে আহবানকারীরুপে এবং আলোক উজ্জ্বলকারী সূর্যরুপে । (সুরা আহযাব, আয়াত-৪৬)
যে সকল অন্ধ এজিদি মুসলিমরা বলে বেড়ায় নবী পাক হাজির-নাজির নন সর্বত্র। তাদের কি এই আয়াত চোখে পড়ে না ???

শাহিদ শব্দের অর্থ হাজির-নাজির বা উপস্থিত। আমাদের নবী পাক তো সকল জগতের নবী এজন্য তিনি সর্বত্র হাজির-নাজির । ''শাহিদ'' এর অপর অর্থ হলো সাক্ষী, ঘটনা প্রত্যক্ষকারী। যে কেউ কোন ঘটনায় উপস্থিত(হাজির-নাজির) থাকলেই
কেবলমাত্র সাক্ষ্য দিতে পারে। ঘটনায় উপস্থিত না থাকলে কোন সাক্ষ্যই আদালতে গ্রহনযোগ্য নয়। হুজুর পাক সকল জগতে উপস্থিত আছেন বলেই আল্লাহর দরবারে বা আদালতে সবকিছুর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতে পারবেন । যদি কেউ দাবি করে যে এই সাক্ষ্য প্রিয় নবী কেবল তার জাহিরি ৬৩ বছর সমযের ঘটনার দিতে পারবেন অন্য সময়ের না । তাদের বলতে চাই, এ
আয়াতে তো এরুপ কোন শর্তারোপ করা হয়নি । আরেকটি প্রশ্ন এসে যায় ৬৩ বছর জাহিরি জিন্দেগীর পর এই ১৪০০ বছর যাবত যত উম্মতে মোহাম্মদী আসলো তাদের সাক্ষ্য বা আমাদের সকল প্রকার সাক্ষ্য প্রিয় নবী না দেখলে কিভাবে দেখেন ??? 

সুতরাং প্রিয় নবী সকল জগতে সব সময় উপস্থিত বা হাজির-নাজির আছেন্ ।
তাফসীরে আবু সাউদ, তাফসীরে রুহুল মাআনী ও তাফসীরে জুমালে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে:-
যাদের প্রতি আপনাকে রাসুল করে প্রেরণ করা হয়েছে তাদের সকলের জন্য আমি আপনাকে শাহিদ (হাজির-নাজির) করে পাঠিয়েছি। আপনি তাদের অবস্থাদি পর্যবেক্ষণ করেন, তাদের আমলসমুহ প্রত্যক্ষ করেন এবং তাদের সাক্ষ্য বহন করেন। আপনি এ সাক্ষ্য কিয়ামতের দিন ঐ সকল বিষয়ে আদায় করবেন যা তাদের জন্য উপকারী ও ক্ষতিকর হবে।
(তাফসীরে আবু সাউদ, খন্ড-৭, পৃষ্টা-৪১৫। জুমাল, খন্ড-৩, পৃষ্টা-৪৪২। রুহুল মাআনী, খন্ড-১১,পৃষ্টা-৪২)

আর প্রিয় নবী কে সকল জগতের জন্য রাসুল হিসাবে পাঠানো হয়েছে। পরের আয়াত দেখুন-
২) ওয়া আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতুল্লিল আলামীন।
অর্থ :- এবং আমি আপনাকে সকল জগতের জন্য রহমত (করুনা,দয়া) স্বরুপ পাঠিয়েছি । (সুরা আম্বিয়া,আয়াত-১০৭) আলম আবরী এক বচন শব্দ যার অর্থ জগত । আর আলামীন হলো আলমের বহুবচন শব্দ।

সুতরাং আলামীন মানে জগতসমুহ । সুতরাং প্রিয় নবী আকা ও মওলা শুধু এই পৃথিবী নয় বরং সপ্ত আসমান-
জমিন, মহাকাশ ,গ্রহ, নক্ষত্র,চন্দ্র,সূর্য,আগুন,পানি,মাটি,বাতাস,শূণ্য এককথায় আল্লাহ পাক যে ১৮ হাজার
আলম(জগত) সৃষ্টি করেছেন সে সমস্ত জগতের জন্য রহমত স্বরুপ। আল্লাহ পাকের রহমত(করুনা,দয়া) ছাড়া সৃষ্টি বাঁচতে পারে না । সুতরাং সকল সৃষ্টির মুলে আল্লাহ পাকের রহমত । আর এই আয়াত অনুসারে আল্লাহ পাকের সেই রহমত হলেন আমাদের
প্রিয় নবী । তাহলে ব্যাপারটা এরুপ দাঁড়ালো প্রিয় নবীজী ছাড়া সৃষ্টি অচল । সৃষ্টির সব কিছুর মধ্যে প্রিয় নবী আল্লাহর রহমত হিসাবে বিরাজ করছেন বলেই সব সৃষ্টি বেঁচে আছে । সুতরাং সৃষ্টির জান ও প্রাণ হলেন আমাদের প্রিয় নবী আকাঁ ও মওলা । সুতরাং সকল সৃষ্টির মধ্যে প্রিয় নবী রহমত হিসাবে সর্বত্র হাজির-নাজির এ আয়াত দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেল । সৃষ্টির সর্বত্র প্রিয় নবী হাজির-নাজির বলেই এ আয়াত অনুসারে তিনি রাহমাতুল্লিল আলামীন। জাহিরি দৃষ্টিকনে প্রিয় নবী আকাঁ ও মওলা মানব আকারে আরব দেশে এসেছিলেন শুধুমাত্র মানুষের মানবতরী উদ্ধারের জন্য । এবং চলেও গেছেন হেদায়েতের
দাওয়াতি মিশন আল কোরআন ও তার আহলে বাইত কে রেখে সঠিক পথ দেখানোর জন্য যুগে যুগে । প্রিয় নবীর এই আসা ও যাওয়ায় একশ্রণির ইয়াজিদি মুসলিম মনে করে নবী মরে গেছে তাই সে কিভাবে হাজির-নাজির থাকতে পারে ???? (নাউযুবিল্লাহ)

কিন্তু উপরোক্ত আয়াত দুটিতে প্রিয় নবীর হাজির-নাজিরের ব্যাপারে কোন শর্তারোপ করা হয়নি যে প্রিয় নবীজীর জাহিরি বিদায়ের পর তিনি হাজির-নাজির নন। আল্লাহ পাক কোরআনে প্রিয় নবীজীর হাজির-নাজির ও রহমত বিতরণের ব্যাপারে কোন শর্তারোপ করেন নি তাহলে আপনি বলার কে যে, প্রিয় নবীর জাহিরি বিদায়ের পর তিনি মৃত বা হাজির-নাজির নন ???

আপনি আপনার বিবেক কে জিজ্ঞাসা করুন আপনি আল্লাহ পাকের আদেশ কে অবজ্ঞা করছেন কি না ?

যেহেতু উপরোক্ত দুটি আয়াতে প্রিয় নবীজীর হাজির-নাজির ও রহমত বিতরণের উপর সময়ের কোন শর্তারোপ করা হয়নি, সুতরাং প্রিয় নবী আকা ও মওলা অনন্তকাল হাজির-নাজির ও রহমত স্বরুপ সকল জগতের জন্য ।

আল্লাহ যদি সকল জগতের স্রষ্টা হয বলে আমরা বিশ্বাস করি তাহলে প্রিয় নবী সকল জগতের রহমত, দয়া, করুনা বলে বিশ্বাস রাখতে হবে এবং এই দয়া, করুণা, রহমতে প্রিয় নবী সর্বত্র হাজির-নাজির ও চিরজীবন্ত।
প্রিয় নবী সকল জগতের জান ও প্রাণ স্বরুপ এবং তার আহলে বাইত পাক-পাঞ্জাতন হলো সমগ্র জগতের দেহ স্বরুপ । এটাই সকল ইসলামী মনীষী ও আউলিয়াদের হাকিকি ইমানের বিশ্বাস । সুফিবাদের মুল তত্ব এখানেই বিরাজমান্ ।

৩) ইন্না আরসালনা ইলাইকুম রাসুলান ; শাহিদান আলাইকুম কামা আরসালনা ইলা ফিরআউনা রাসুলা। 
অর্থ : নিশ্চয়ই আমি তোমাদের কাছে এমন একজন রাসুল পাঠিয়েছি(প্রেরণ করেছি), যিনি তোমাদের নিকটে উপস্থিত
(হাজির-নাজির),যেভাবে আমি ফিরআউনের প্রতি রাসুল প্রেরন করেছি।
(সুরা আল মুযযাম্মিল, আয়াত-১৫) এ আয়াত হতে ও পরিষ্কারভাবে বুঝা গেল প্রিয় নবী হাজির-নাজির। এ আয়াতে কোন শর্তারোপ করা হয়নি যে প্রিয় নবী মানব আকারে দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় শুধু হাজির-নাজির । সুতরাং প্রিয় নবী সকল জগতে সকল সময়ের জন্য হাজির-নাজির বা উপস্তিত এ আয়াত থেকে বুঝা যায়।

৪) ফাকাইফা ইযা জি'না মিন কুল্লি উম্মাতিম বি-শাহিদিওঁ ওয়া জি'না বিকা আলাহা-উলাই শাহিদা। 
অর্থ : তবে কেমন হবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো এবং হে মাহবুব ! আপনাকে তাদের
সকলের উপর সাক্ষ্য ও পর্যবেক্ষণকারীরুপে উপস্থিত করবো । (সুরা নিসা, আয়াত-৪১)
সুবহানাল্লাহ কত সুন্দর কথা । প্রিয় নবীর প্রিয় উম্মত থেকেও সেদিন সাক্ষ্য হিসাবে উপস্থিত করবে এবং সকলের উপর
মহাসাক্ষী হিসাবে প্রিয় নবী উপস্তিত থাকবে । আবারও বলছি কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে হলে সেখানে উপস্তিত থাকা জুরুরী । সুতরাং প্রিয় নবীও সকল জগতে উপস্থিত থাকেনই তার কিছু কিছু প্রিয় আশেক উম্মত আউলিয়া- কেরামও সাক্ষ্য দিবেন ।
তাফসীরে কানযুল ইমান ও নুরুল ইরফানে এ আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে:- রাসুলে খোদা সাল্রাল্রাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম পূর্ব ও পরবর্তী সমস্ত অবস্থা নিজ চোখ মোবারকে প্রত্যক্ষ করছেন। এ কারণে কাফিরগন হুযুরের সাক্ষ্যের বিরুদ্ধে ঐ
আপত্তি করতে পারবে না যা উম্মতের সাক্ষ্যের বিরুদ্ধে করবে । তা হচ্ছে- তারা বলবে-এসব লোক না দেখে কিভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছে । (তাফসীরে কানযুল ইমানও নুরুল ইরফান, পৃষ্টা-২২১)

৫) ওয়া'লামু আন্না ফি'কুম রাসুলাল্লাহি । অর্থ : এবং জেনে রাখ, তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসুল উপস্থিত রয়েছেন। 
(সুরা হুজুরাত, আয়াত-৭) যেহেতু এ আয়াতে সময়ের কোন শর্তারোপ করা হয়নি সুতরাং আল্লাহর রাসুল প্রিয় নবী সর্বত্র উপস্তিত রয়েছেন। 

হাদিসের দৃষ্টিতে প্রিয় নবী হাজির-নাজির
:::::::::::::::::::::::

১) হযরত আবু হোরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন-
তোমরা আমার মুখ শুধু কিবলার দিকেই দেখছ ? আল্লাহর কসম ! আমার কাছে না তোমাদের রুকু লুকায়িত এবং না তোমাদের বিনয়-নম্রতা । নিশ্চয়ইআমি তোমাদেরকে আমার পেছন দিক হতেও দেখি ।( বুখারী, ১ম খন্ড ) সুবহানাল্লাহ ! 

আমাদের প্রিয় নবী সবকিছু সবদিকেই দেখতে পেতেন । এ হাদিস সুক্ষভাবে চিন্তা করলে প্রমাণ হয় যে তিনি সব জগতের সবকিছু দেখেন ও জানেন এবং সর্বত্র হাজির-নাজির।সর্বত্র নাজির-নাজির না হলে প্রিয় নবী সবদিকে সবকিছু দেখেন কি করে ???

২) হযরত সাওবান (রা:) হতে বর্ণিত, ক্বালা রাসুলাল্রাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামা ইন্নাল্লাহা জাআলিকাল আরদা রাআয়তু মাশারিকাহা ওয়া মাগারিবাহা। অর্থ :- রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন,নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা সমস্ত জমিনের পূর্ব থেকে পশ্চিমের সবকিছু আমাকে প্রত্যক্ষ করান বা দেখান। (মুসলিম, খন্ড-২)

 এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, সৃষ্টির কোন কিছুই প্রিয় নবীজীর দৃষ্টির বাইরে নন। যা কিছু হচ্ছে এবং হবে সবকিছু তিনি প্রত্যক্ষ করেন এবং আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দেন।

৩) হযরত আবু যর গিফারী (রা.)হতে বর্ণিত,ক্বালা রাসুলাল্রাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামা ইন্নি আ-রা মালাতারাওনা ।
অর্থ:-রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন,নিশ্চয়ই আমি যা দেখি তোমরা তা দেখ না।(তিরমিযি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত )

 এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, আমরা মানুষ আমাদের দৃষ্টি সীমার মধ্যে যা দেখি ও প্রত্যক্ষ করি এছাড়াও রাসুলে পাক সব
কিছু দেখেন যা আমরা কেউ অবগত নই। সুতরাং সৃষ্টির সবকিছুই তিনি প্রত্যক্ষ করেন। যুগশ্রেষ্ঠ উলামাদের দৃষ্টিতে প্রিয় নবী হাজির-নাজির
১) শায়খুল মুহাদ্দেসীন হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী(রা.) বলেন- উম্মতে মোহাম্মদীর উলামাদের মধ্যে মতপার্থক্য ও মাযহাবের আধিক্য থাকা সত্তেও এই মাসআলা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই যে, রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম রুপকের অবকাশ ও কুটিল ব্যাখ্যার ধারণা ব্যতিরেকে প্রকৃত জীবনে জীবিত, স্থায়ী ও বিরাজমান এবং উম্মতের আমলসমুহের প্রতি প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য প্রদানকারী (হাজির-নাজির) ।
( আখবারুল আখইয়ারের পাদটীকা)

২) হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী(রা.)বলেন- রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম উম্মতের গুনাহসমুহ, ইমানের স্তরসমুহ, পাপ ও পূণ্য কর্মাদি এবং উম্মতের ভাল চরিত্র ও কপটতা(মুনাফিকি) কে জানেন ও চিনেন। 

অতত্রব শরিয়তের বিধান অনুযায়ী উম্মতের বেলায় তার সাক্ষ্যদান(উপস্থিতি) গ্রহনযোগ্য ও অবশ্যই পালনীয়। (তাফসীরে আযীযী,খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৬৪৬)

উপমহাদেশে শায়খুল মুহাদ্দেসীন হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী(রা.) এবং হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী(রা.) দুজনই দলমত সকল দলের আলেম সমাজের কাছে সুপরিচিত ও সর্বজন স্বীকৃত। এই দুই মহান আলেমের উপরের উক্তি হতে অত্যন্ত পরিষ্কার যে, প্রিয় নবী বাতিনি ভাবে নবুওয়াতের চোখে প্রত্যেক বস্তু প্রত্যক্ষ করেন এবং জীবিত এবং সর্বত্র বিরাজমান ।

প্রিয় নবীজীর উম্মতের কিছু কিছু আউলিয়া-কেরামও সবকিছু দেখেন প্রিয় নবী পাক সবকিছু দেখেন এবং হাজির -নাজির
এটাতো ধ্রুব সত্য । এমনকি প্রিয় নবীর আহলে বাইত(বংশধর) এবং কিছু আউলিয়া-কেরামও সবকিছু দেখেন।
আউলিয়াদের শিরোমণি হুজুরে গাউসে পাক শেখ মহিউদ্দিন আবু মোহামমদ আব্দুল কাদের জিলানী আলা- জাদ্দিহি নাবিয়ানা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম বলেন-মহান রাব্বুল আলামিনের ইজ্জতের কসম ! নিশ্চয়ই সকল নেককার (পূণ্যবান) এবং বদকার(পাপীগণ, দুভার্গগণ) কে আমার সামনে উপস্থাপন করা হয় ।

 আমার চোখ লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত। আমি আল্লাহর তাজ্জাল্লীর জ্ঞান সমুদ্রে অবগাহনকারী। (বাহজাতুল আসরার)
সুতরাং কোরআন-হাদিস ও যুগশ্রষ্ঠ উলামাগণ ও আউলিয়াদের দৃষ্টিকণে প্রমাণিত হলো, প্রিয় নবী আকা ও মওলা সর্বত্র হাজির-নাজির এবং সৃষ্টির সবকিছু প্রত্যক্ষ করেন । যারা চোখ থাকতেও অন্ধ এবং যাদের অন্তর চোখ অন্ধ একমাত্র তারাই এ কথা অস্বীকার করতে পারে ।

হে আল্লাহ ! আপনার নবী পাক সম্পর্কে যারা নাপাক কথা -বার্তা বলে বেড়ায় তাদের হতে আমাদের হেফাজত করুন । আমীন। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মোহাম্মদ ওয়ালা আলে মোহাম্মদ ।

Post a Comment

 
Top