0
“তোমাদের মধ্যে কী একজনও মুসলমান নেই?” - হযরত হুসাইন (আ)এজিদ ইবনে মুয়াবিয়া’র নামাজী সৈন্যগণ যখন হযরত হুসাইন (আ) হত্যা করার জন্য করবালার ময়দানে তাঁর মুখোমুখি তখন যাদের সানে প্রতি নামাজে দরুদ না পড়লে নামাজ হয় না, তাদেরই একজন হযরত হুসাইন (আ) হত্যা করার জন্য ২২০০০ হাজার সৈন্য নিরস্ত্র ৭২ জন মানুষের উপর হামলা করে। এই কারবালার ময়দানেই হযরত হুসাইন (আ) উক্ত উক্তিটি করেন যে, “তোমাদের মধ্যে কী একজনও মুসলমান নেই?”

কারবালার মধ্যেই মুসলিম ও মুখোশধারী মুসলিম সনাক্ত করার জন্য জান্নাতের যুবকদের সর্দার হযরত হুসাইন (আ) উক্ত উক্তি করে বিশ্বে হুসাইনী মুসলমান ও এজিদি মুসলমান চিনিয়ে দিয়েছেন।
কুরআন সবার জন্যই তবে শুধু মুত্তাকিরাই হেদায়েত পাবে (সূরা বাকারা আয়াত ২)। কুরআন না বুঝার কারণেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়। যেমন- আল্লাহ বলেন, ‘এই কুরআন দ্বারা অনেকে বিভ্রান্ত হইয়াছে, অনেকে ইহা দ্বারা হিদায়াত পাইয়াছে’। লালনই যথার্থই উপমা দিয়েছেন-
যে স্তনের দুদ্ধ শিশুতে খায়,
জোকেঁ মুখ লাগলে তথায়
রক্ত পায় গো সে।
উত্তমে উত্তম, অধমে অধম,
লালন বলে,
যে যেমন সে তেমন পেয়েছে রে।।
সুতরাং, কুরআন বুঝা ও মুসলমান চিনে মুসলমান হওয়া খুবই জরুরী। এর জন্য আহলে বায়েত অর্থাৎ ঘরের বাসিন্দা
[ মুহাম্মদ (ছাঃ), আলী (আ) ফাতেমা (আ) হাসান (আ) হুসাইন (আ)] দের ভালবাসতে হবে ও তাদের অর্থাৎ তাদের অনুসারীদের অর্ন্তগত হয়ে কুরআনের সঠিক বুঝ গ্রহণ ও মুসলমান হওয়া সহজ এবং অপরিহার্য। কেননা আল্লাহ বলেন- হে মুহাম্মদ! আপনি বলুন, এই কুরআন এনে দেয়ার জন্য (রেসালাতের বিনিময়ে) আমি তোমাদের নিকট কোন মুজুরী চাইনা আমার নিকট আত্মীয়দের মুহব্বত ব্যতিত। । কারবালার ময়দানে কোথায় সে মহব্বত। আজ কোথায় সে মহব্বত! আহলে বায়েতের কথা বললেই এক শ্রেণী লোক শিয়া শিয়া বলে চিল্লাইয়া উঠে। মনে রাখতে হবে- তাদের ভালবাসলে শিয়া, সুন্নি, রাফেজী, খারেজী কিছুই হয় না; ‘মুসলিম’ হয়। এক উয়ায়ছী বুজুর্গ পীর কতইনা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন-
“ইস্কের মাজহাব আছে এক দুনিয়ায়
শিয়া সুন্নি রাফেজি খারিজি নাই তাহায়”। ইস্ক মানে মুহব্বত এই মুহব্বতই করতে বলেছেন আল্লাহ সুবহানা তায়ালা। -- আশেক মুর্শেদ উয়ায়ছী।

Post a Comment

 
Top